ডালিম একটি পুষ্টিকর ফল, যা শরীরের নানা উপকারে আসে। সঠিক সময়ে ডালিম খাওয়ার অভ্যাস শরীর ও স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ভূমিকা রাখতে পারে। আসুন জেনে নেই, ডালিম খাওয়ার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা।
ডালিমে রয়েছে অসংখ্য রোগপ্রতিরোধী গুণ। তবে অন্যান্য ফলের তুলনায় এটি একটু দামি হওয়ায় অনেকেই ডালিম এড়িয়ে যান। তবে নিয়মিত ডালিম খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে পাওয়া যায় অসংখ্য উপকার।
ডালিম আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি চিকিৎসায় পথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শুধু ফলই নয়, ফলের খোসা, গাছের শিকড়, ছাল এবং ফুলও বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে কার্যকর।
ডালিমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন কে, সি ও বি রয়েছে। এ ছাড়াও এতে রয়েছে আয়রন, পটাশিয়াম, জিঙ্ক এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপাদানগুলো শরীরকে চাঙা রাখতে সহায়ক।
গর্ভবতী নারীদের জন্য ডালিম খুবই উপকারী। এটি রক্তের ঘাটতি পূরণ করে এবং ডিহাইড্রেশন রোধ করে। মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতেও ডালিম কার্যকর।
রক্তাল্পতায় ভুগছেন? ডালিমে থাকা আয়রন রক্তের অভাব পূরণে সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ডালিমের ভূমিকা অনেক। এটি শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে এবং উত্তেজনা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
ত্বকের যত্নে ডালিম বিশেষ উপকারী। ত্বকের বলিরেখা এবং কালো দাগ দূর করে এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণেও ডালিম কার্যকর। এতে থাকা প্রাকৃতিক ইনসুলিন রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
মুখের জীবাণু ধ্বংসে ডালিমের ভূমিকা অসাধারণ। এটি ক্যাভিটি প্রতিরোধ করে এবং মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও ডালিম কার্যকর। প্রতিদিন ডালিমের রস খেলে চুল পড়া কমে এবং চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
ডায়রিয়া প্রতিরোধে ডালিমের রস উপকারী। অনেকেই ভাবেন ডায়রিয়া হলে ডালিম খাওয়া উচিত নয়, কিন্তু এটি ডায়রিয়া থেকে রক্ষা করে।
সকালে ডালিম খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। ব্রেকফাস্টের সঙ্গে বা ব্রেকফাস্টের ১০ মিনিট পরে ডালিম খেলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
ডালিমের স্বাস্থ্যগুণ বিবেচনায় এটি নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। যদিও দাম কিছুটা বেশি, তবে এর উপকারিতা এড়িয়ে যাওয়ার মতো নয়।